প্রকাশিত: ২০/০৪/২০১৮ ৮:৫৫ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৩:৫৪ এএম

কামাল শিশির,রামু::

কক্সবাজার রামুতে যত্রতত্র লাইসেন্স বিহীন জ্বালানী তেল এবং এলপি গ্যাসের দোকান গজিয়ে উঠায় অগ্নিকান্ডের আশংকা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। রামুর হাটবাজার গুলোতে বিষফোরক লাইসেন্স ছাড়াই পেট্রোল, ডিজেল,কেরোসিন এবং এলপি গ্যাসের দোকান খুলে বসেছে। এইসব দোকানে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র (গ্যাস সিলিন্ডার) না থাকার কারণে যে কোন মুহুর্তে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ঘটে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে বলে আশংকা করাা হচ্ছে। ইতিপূর্বে বিভিন্ন এলাকায় একাধিকবার এই ধরনের ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ঘটেছে । এছাড়া ঈদগড় বাজারের বিভিন্ন স্থানে গজিয়ে উঠা অবৈধ জ্বালানী তেলের দোকান থেকে যে কোন মুহুর্তে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ঘটে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।উপজেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে জ্বালানী তেল বিশেষ করে পেট্রোল বিক্রেতারা সাবধানতা অবলম্বন করছেনা। এছাড়া বিস্ফোরক লাইসেন্স বিহীন এই সব দোকানে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র নেই।অপরদিকে কিছু লোক ঈদগড় বাজারে বলতে গেলে রাস্তার উপর পেট্রোল বিক্রি করতেছে । যে কারণেই অগ্নি কান্ডের সূত্রপাত হলেই তাৎক্ষনিক ভাবে আগুণ নেভানো সম্ভব হবে না । দ্রুত আগুণ ছড়িয়ে পড়লে জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে । সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, বিস্ফোরক লাইসেন্স প্রদান করা হয়। যত্রতত্র গজিয়ে উঠা এসব জ্বালানী তেলের দোকানদারেরা সরকারের নিয়ম অনুযায়ী বিস্ফোরক লাইসেন্স এবং জ্বালানী তৈল সংরক্ষণে তেমন আগ্রহ প্রকাশ করেনা। তিনি এই প্রসঙ্গে আরো জানান, বাৎসরিক নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি জমা দিয়ে এবং প্রয়োজনীয় পরিবেশ সৃষ্টি করার কাগজপত্র তৈরি করে লাইসেন্স নিয়ে এই সব দ্রব্য বিক্রি করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু এই ব্যাপারে বিক্রেতাদের বিন্দুমাত্র আগ্রহ না থাকায় সরকার বিপুল অংকের রাজস্ব হারাচ্ছেন। পাশাপাশি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র না থাকায় অগ্নি কান্ডে বিপুল পরিমাণ সম্পদের ক্ষতির আশংকা থেকেই যাচ্ছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালিত হলেও রামুতে না হওয়ায় এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ঠ কতৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সুশিল সমাজ ।

পাঠকের মতামত

গদি নেই তবু সাবেক এমপি বদি!

আবদুর রহমান বদি। কক্সবাজার-৪ আসনের প্রভাবশালী সংসদ সদস্য ছিলেন, তাও আবার ক্ষমতাসীন দলের টিকিটে। মাদক ...

মিয়ানমারে সশস্ত্র লড়াই: আরাকান আর্মির কাছে গুরুত্বহীন রোহিঙ্গারা

মিয়ানমারে জান্তা বাহিনীর নির্যাতনের অবসান ঘটিয়ে নিজেদের জাতিসত্তার স্বীকৃতি আদায় এবং রাখাইন রাজ্যে স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার ...